নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যাবসায়ী হায়দারের মিডিয়া পাড়ায় দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে । সূত্র জানায়, ২৩ নং ওয়ার্ড খান সড়ক এলাকার মৃত মালেক সিকদারের ছেলে হায়দার শিকদার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে এসব অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে। হায়দার তার এই ব্যাবসা পরিচালনা করার জন্য তার দুই থেকে তিন জন স্ত্রী রয়েছে তাদেরকে ব্যাবহার করে থাকে বলে ঐ সূত্রটি নিশ্চিত করেছে । হায়দারের সব মিলিয়ে প্রায় হাফ ডজন বিবাহ রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এক একটি এলাকায় এক এক জন স্ত্রীকে দিয়ে তার এই মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে ।
সম্প্রতি কিছুদিন পূর্বে হায়দারের নামে বরিশালের আঞ্চলিক বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে হায়দার বিভিন্ন পত্রিকার অফিসে গিয়ে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের মাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানায়। তবে সংবাদ প্রকাশের পরে কিছুদিন নিজেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকলেও আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুচতুর হায়দার শিকদার। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রশাসন যখন মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানে ঠিক তখন প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ২৩ নং ওয়ার্ডসহ বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা ,ফেন্সিডিলের মতো মরন নেশা মাদক বিক্রি করে আসছে এই হায়দার । টাকা হলেই হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে গাজা, ইয়াবা ফেনন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদক দ্রবত।
মাদকের এ ভয়াবহ ছোবলে ধংস হচ্ছে যুবসমাজ। মাদকের নেশায় লন্ডভন্ড হচ্ছে নিন্মবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবার। আর বরিশাল নগরের ২৩ নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোড এলাকার হায়দার আলী সিকাদারের মরণ নেশা মাদক বিক্রির কারণে ওই এলাকার অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম উদ্বেগ- উৎকন্ঠায় পড়েছেন। তারা বলেন, আমাদের ওয়ার্ডের যুব সমাজকে ধ্বংসের দাড়প্রান্তে পৌঁছে দিতে একজন হায়দার-ই যথেষ্ট। তবে মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়ে এহেন কাজ করছে বলে পুলিশও রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। সম্প্রতি বরিশাল নগরের ২৩ নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোড এলাকার হায়দার আলী সিকাদার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে ছবি থাকায় নিজেকের নেতা পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। খান সড়ক এলাকার মৃত মালেক সিকদারের পুত্র হায়দার ওই সকল এলাকা সহ আশপাশের এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। গোপন সুএে জানা গেছে, বাংলাদেশের সিমান্তবর্তী ঠাকুরগাঁও থেকে তার প্রথম স্ত্রী রোজি মরন নেশা ইয়াবা বহন করে কাশিপুরের ছালাম ওরুফে ফেন্সি ছালাম’র বাসায় অবস্থান নেয়। রাত শেষে নিরাপদ রুট দেখে দিনের বেলায় লুৎফর রহমান সড়ক হয়ে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা থেকে নবগ্রাম রোডে মাদকের চালান নিয়ে প্রবেশ করে ছালাম ও তার স্ত্রী।
যদিও ছালাম তার হিসেব হায়দারের কাছ থেকে বুঝে নেন। এদিকে হায়দারের একান্ত সহযোগি কাশিপুর শাহ পরান সড়ক এলাকার ছালাম ও মঈন শেখ ইয়াবা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। মহানগর আ:লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে অনেক বড় মাপের নেতা হিসাবে জানান দেয় মাদক ব্যবসায়ী হায়দার। সুত্র বলছে, নবগ্রাম রোড কেরানি বাড়ির পোল, খান সড়কের দিঘিরপার, সরদার বাড়ির পোল, যুবক হাউজিংসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবারহ করে হায়দারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি একই ওয়ার্ডের ডিস কর্মচারী রাজন। এ ব্যাপারে হায়দার আলী সিকদার বলেন, আমি আগে মাদকের সাথে জড়িত ছিলাম, বর্তমানে নেই। আমাকে নিয়ে হয়তো কেউ মিথ্যা রুটাইতেছে। এব্যপারে ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, আমি মানুষের মুখে শুনছি সে মাদক বিক্রি করে।
আমার ওয়ার্ডে মাদক বিক্রি অনেকটা কমেছে বলে আমার বিশ্বাস। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হায়দার মাদক বিক্রির সাথে জরিত থাকলে তার বিরুদ্ধে আমি নিজেই আইনগত ব্যবস্থা নিব। এবিষয় কোতায়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, মাদক বিক্রির সাথে হায়দার জরিত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply